তাবলীগ জামাতের সথীরা মাসুম না । ভুল ত্রুটির উর্দ্ধে না । কিন্তু তাবলীগ জামাতের ভুল ত্রুটির সংশোধনের উদ্দেশ্য কোন মুসলমান ভাই যদি কিছু বলেন, অনেক তাবলীগীরা এটাকে ফিতনা, কতল বা হত্যা থেকে ভয়াবহ এসব বলে থাকেন । কেউ কঊ তো এটাও বলে ফেলেন যেহেতু এই জামাত পরামর্ করে কাজ করে তাই এদের ভুল হবে না, বা হয় না । অথচ শরীয়তে কোন দিক নির্দেশনা এরূপ নেই যে পরামর্শ করে করা কাজ ভুলের উর্ধে থাকবে ।
পরামর্শ বলেন বা নিজস্ব চিন্তা চেতনা যাই বলেন, তাবলীগ জামাতের আমীর সাহেবরা অনেক সময় এমন এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেন যেগুলো ওনাদের বিষয় নয় । শরীয়তের বিষয় । দক্ষ আলেমদের সিদ্ধান্ত দেবার বিষয় । তাবলীগ জামাতকে আমর হক পন্থী জামাত মনে করি এর একটা কারণ ওনাদের উসুলের মাঝে আছে, মাসালা ওলামাদের জিগেস করা । মউদুদীরা মাসালা ওলামাদের জিগেস করে না, দলনেতার কথায় চলে, এজন্য মৌদুদীরা গোমরাহ ।
যাই হোক তাবলীগীদের ভুলের উদাহরণ দিতে গিয়ে ত্বকী সাহেব বলেন তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল তারা বলে : ' তাবলীগের কাজ বর্তমানে ফরজে আইন, ফরজে কেফায়া না ' আবার শুধু এতটুকু বলেই থেমে থাকে না , বরং নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতিতে কাজ করাকেই তারা ফরজে আইন বলে থাকে ।
এই নিয়ে কিছু দিন আগে একটি পোষ্টও আমি দিয়েছিলাম । তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : ' তাবলীগের কাজ বর্তমানে ফরজে আইন, ফরজে কেফায়া না ' Click This Link
মজার ব্যাপার একজন এসে সেই পোষ্টে প্রমাণ করতে লেগে গেলেন, কাজটা ফরজে আইন । আরে ভাই এটা দাবী করা হয় বলেই তো আমাদের সমস্যা ! কারণ সারা বিশ্বের ওলামারা তো এটাকে ফরজে আইন বলেন নি ! আপনারাও যদি মৌদুদী লা-মাজ হাবীদের মত মন মত কোরাণ হাদীস ব্যক্ষা করতে থাকেন, তবে কি আপনাদের হকপন্থী জামাত বলা যাবে ?
এখানে সমস্যা দুটি :
১। ফরজে আইন না ফরজে কেফায়া এটা সিদ্ধান্ত দেবার কাজ তো কোন আমীর সাহেবের না, কোন ব্লগারের -ও না, কোন নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিভাগ থেকে জেনে নেওয়া যেতো । আপনারা তা না করে শরীয়তের বিষয়ে দখল দিয়ে বসলেন।
২। আপনাদের সিদ্ধান্ত পুরা ওলামা সমাজের বিপরীত হল !
তাবলীগ জামাতের বাড়াবাড়ি ও ভুলগুলো জানতে আল্লামা জাস্টিস ত্বকী উসমানীর লেখাগুলো পড়ুন
Click This Link